Your Cart: 6 items
You may be interested in…
-
বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ
মুনির হাসানের জন্ম চট্টগ্রামে। পড়ালেখাও সেখানেই— সেন্ট মেরিজ, মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি, মুসলিম হাইস্কুল ও চট্টগ্রাম কলেজ। এরপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাস করে দীর্ঘদিন সেখানেই কর্মজীবন— পরে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, বিশ্বব্যাংক ইত্যাদিতে কাজ করেছেন। বর্তমানে দৈনিক প্রথম আলোর যুব কার্যক্রম ও অনুষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।
দৈনিক সংবাদের সাপ্তাহিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ফিচার পাতায় লেখালেখির মাধ্যমে সাহচর্য পেয়েছেন বিজ্ঞান-লেখক ও বিজ্ঞানকর্মী আ. মু. জহুরুল হক, আবদুল্লাহ আল-মুতী, শরফুদ্দিন এবং এ আর খানের। তাদের অনুপ্রেরণায় নিজেকে বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের কর্মী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। ১৯৯৫-৯৮ সালে ভোরের কাগজ এবং ১৯৯৮ সাল থেকে অদ্যাবধি দৈনিক প্রথম আলোয় গণিত, বিজ্ঞান, উদ্যোগ ও শিক্ষা নিয়ে লেখালেখি করছেন। কাজ করছেন গণিত নিয়ে— বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে। গণিতের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রসারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
২০১১ সালে তার হাতেই সূচনা হয় ‘চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব’ নামের প্লাটফর্ম। লক্ষাধিক উদ্যোক্তার এই প্লাটফর্মটি দেশে উদ্যোক্তাবান্ধব একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেওয়ার জন্য নিরলস কাজ করে চলছে।
স্ত্রী সামিয়া আখ্তার, পুত্র ফারদীম রুবাই ও কন্যা ওয়ামিয়া বিদুষীকে নিয়ে মুনির হাসানের সংসার।৳ 360 -
গণিতের জেমস বন্ড
নাম : মোত্তাসিন পাহলভী। বাবা: আতাউর রহমান, মাতা: মাহফুজা রহমান। ১৯৮৭ সালের ১৭ জুলাই পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তিনি এসএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এরপর তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন।
তিনি একাধারে একজন শিক্ষক, লেখক, প্রকৌশলী ও উদ্যোক্তা। গণিত ও বিজ্ঞানের প্রতি সবার ভালোবাসা তৈরির জন্য তিনি কাজ করছেন। তিনি তার ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে Mottasin Pahlovi- BUETian নিয়মিত গণিত ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলো মজা করে উপস্থাপন করেন। সম্প্রতি তিনি www.mpbian.com নামে একটি website পরিচালনা করছেন, যা দ্বারা সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।৳ 400 -
শূন্য থেকে পাইথন মেশিন লার্নিং: হাতেকলমে সাইকিট-লার্ন
দূর দুরান্তের শর্টওয়েভ রেডিও স্টেশনগুলোর রিসেপশন রিপোর্ট লিখতে গিয়ে তরঙ্গের সাথে এক ধরণের ভালোবাসায় পড়ে যান আমাদের লেখক। বিশেষ করে রেডিও কম্যুনিকেশন নিয়ে। ১৯৭০ সালে ঢাকায় জন্ম নেয়া আমাদের লেখকের ছোটবেলার ঢাকার স্কাইলাইন ফাঁকা ছিলো অনেকটাই। ফলে, বাসার পুরো ছাদই পাল্টে গিয়েছিলো ‘রেডিও অ্যান্টেনা’ হিসেবে। দূরের দুর্বল সিগন্যালকে ‘অ্যাম্পলিফাই’ করার ধারণা নিতে নিতেই চলে যেতে হয় ক্যাডেট কলেজে। ছুটিতে বাসায় আসলে চাকরিজীবী বাবা মা’র দিনের অনুপস্থিতি পুরো বাসাকে ‘আর অ্যান্ড ডি’ ল্যাব বানাতে গিয়ে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটে ফিউজ ওড়ানো ছিলো নিয়মিত ঘটনা। বাসায় আগুন ধরানোর জন্যে কম মার খেতে হয়নি তাকে।
ইলেকট্রনিক কম্যুনিকেশনের প্রতি ‘অসম্ভব’ দুর্বলতা তাকে নিয়ে আসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরে। মার্কিন সেনাবাহিনীর সিগন্যাল স্কুল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সরকারি এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৭০ এর বেশি ট্রেনিং জুড়েছে তার অভিজ্ঞতার ঝুঁলিতে। অভিজ্ঞতার ‘ডটগুলোকে কানেক্ট’ করতে বাংলাদেশ টেলিকম্যুনিকেশন রেগুরেটরি কমিশনে প্রায় সাত বছরের অভিজ্ঞতা দিয়েছে অন্যভাবে চিন্তা করতে। পথ দেখিয়েছে বড় স্কেলের ডাটা চিনতে। খুব কাছে থেকে। সরাসরি কাজ করেছেন কোটি কোটি ডাটা রেকর্ডকে সরকারি প্রজ্ঞাতে যুক্ত করতে।
২০০৯ সালে জাতীয় স্কেলে প্রতিটা টেলিকম অপারেটরের ‘ইন্টারকানেকশন ভয়েস কল কস্ট মডেলিং’তৈরিতে সহযোগিতা করতে গিয়ে তার ধারণা পাল্টায় ডাটার ব্যাপারে। কোটি কোটি মিনিটের ‘ভয়েস কল’ আর ‘এসএমএস’ এর আন্তসংযোগ ‘হোলসেল’ মূল্য নির্ধারণে ডাটা যে কথা বলে সেটার প্রমান দেখেন নিজের চোখে। প্রযুক্তিগতভাবে এ ব্যাপারে সহযোগিতা দেয় ‘ইন্টারন্যাশনাল টেলিকম্যুনিকেশন ইউনিয়ন’ (আইটিইউ) – দু বছর ধরে। এই ডাটার ধারণা তাকে উদ্বুদ্ধ করে টেলিকম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ মাস্টার্স করতে। সরকারি কাজের ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে বড় বড় ডাটা ইন্টারমেডিয়ারি (গুগল, ফেইসবুক ইত্যাদি), এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার (আইটিইউ, বিশ্বব্যাংক …) সাথে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি ‘পিএইচডি রিসার্চার’ হিসেবে কাজ করছেন – নীতিনির্ধারনীদের জন্য একটা ড্যাশবোর্ড তৈরির ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে। এ মুহূর্তে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে প্রেষণে ‘ন্যাশনাল টেলিকম্যুনিকেশন মনিটরিং সেন্টার’ এ কর্মরত।
“৳ 380 -
কলনবিলাস ১
মোহাম্মাদ জিশান, জন্ম তার ২০০২ সালের ৬ জানুয়ারি, নাটোরের সিংড়া উপজেলার এক গ্রামাঞ্চলে। অনেক ছোট থেকেই গণিত ও বিজ্ঞানের প্রতি গভীর অনুরাগী। মাধ্যমিক থেকেই গণিত আর বিজ্ঞানের বিষয়গুলো ব্যবহারিক না হলেও তাত্ত্বিকভাবে প্রমাণ সব পড়াশোনা করা, মুক্তচিন্তার মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানের বিষয়গুলো অনুভব করা তার প্রিয় কাজ। দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের জগদ্বিখ্যাত তত্ত্ব ‘বিশেষ আপেক্ষিকতা’র সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই থেকে ক্যালকুলাস যেন লেখকের জীবনসঙ্গী।
লেখক অত্যন্ত আবেগপ্রবণ মানুষ। সারাক্ষণ রোমাঞ্চ খুঁজে বেড়ানো তার নেশা।
সিংড়ার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ থেকে মাধ্যমিক শেষ করার পর সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল ও কলেজে মাত্র একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় তার প্রথম বই ‘আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব’ প্রকাশিত হয় ২০২০ সালে।
ফেসবুকে বিভিন্ন বিজ্ঞান গ্রুপে ক্যালকুলাস নিয়ে লেখালেখি। এরপর পাঠকদের জোরাজুরিতে তার দ্বিতীয় বই ‘কলনবিলাস’ রচনা করে বসেন মাত্র দ্বাদশ শ্রেণিতে থাকা অবস্থায়। কলনবিলাস বইটিকে লেখক নিজের ‘ড্রিম প্রজেক্ট’ বলতে ভালোবাসেন।
অত্যন্ত সহজ-সরল লেখক কঠিন মানবজীবনের মারপ্যাঁচ খুব কমই বোঝেন। এত কঠিন মারপ্যাঁচ বোঝার থেকে গণিত আর বিজ্ঞান অনুধাবনের মাধ্যমে প্রকৃতির রহস্যভেদ করার চেষ্টায় লিপ্ত হওয়া শ্রেয় বলে মনে করেন তিনি। বর্তমানে তিনি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সচেষ্ট আছেন।৳ 540