পুরুষতন্ত্র ও নারী
৳ 352ফরিদা আখতার জন্ম, চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার হারলা গ্রামে। অর্থনীতিতে পড়াশোনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। কাজ করেন আর্থসামাজিক গবেষণার নানান ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের অবস্থা জানা এবং পরিবর্তনের জন্য নীতিনির্ধারণী গবেষণা ও লেখালেখিই তার কাজের প্রধান জায়গা। নারী উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য-সম্পদ, তাঁত শিল্প, গার্মেন্টস শিল্প ও শ্রমিক, জনসংখ্যা এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক বিষয়ে নিবিড়ভাবে দীর্ঘ প্রায় তিন দশক কাজ করে চলেছেন। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নামে পরিচালিত কার্যক্রমের মারাত্মক কুফল ও নারী স্বাস্থ্যের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে লেখালেখি এবং প্রতিকার আন্দোলনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে সুপরিচিত। নারীদের জন্যে গ্রন্থ প্রকাশ, বিক্রয় ও নারীদের গবেষণা ও আড্ডার জায়গা নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা প্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত। বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত, সম্মিলিত নারী সমাজ’র সদস্য।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: প্রবন্ধ: প্রতিরোধ (২০০৪), বিকৃত বীজ (২০০৯), পরিবেশ রাজনীতি ও জলবায়ু পরিবর্তন (২০১০), Seeds of Movements (2007I 2011), Resisting Norplant (1995), Depopulating Bangladesh (1992, 1996 I 2005), Essays on the Politics of fertility, Women & Trees (1990, 1999 I 2008); সম্পাদনা: শত বছরে শত নারী (১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৮ ও ২০১০), সর্বনাশা বিষ (২০০৫ ), মানুষ নিয়ে বেচাকেনা ( ২০০১), সংরক্ষিত আসন, সরাসরি নির্বাচন (১৯৯৯)।
কবি, চিন্তক, বুদ্ধিজীবী ও কৃষক। জন্ম: ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশের নোয়াখালি জেলায়। পড়াশুনা করেছেন ওষুধ শাস্ত্র ও অর্থনীতি বিষয়ে যথাক্রমে ঢাকা ও নিউইয়র্কে। পেশাসূত্রে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলাদেশের ‘নয়াকৃষি আন্দোলন-এর প্রধান সহযোদ্ধা। লালন ধারা-সহ বৃহৎ বঙ্গের ভাবান্দোলন পরম্পরার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, সমাজ ও রাজনীতি চিন্তা এবং দার্শনিক বিষয়ে বহু গদ্য রচনা করেছেন। এছাড়াও লিখেছেন নাটক। অনুবাদও করেছেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: কবিতা: অসময়ের নোট বই(১৯৯৪, ২০১৬), কবিতার বোনের সঙ্গে আবার (২০০৩), ক্যামেরাগিরি (২০১০, ২০১৩), তুমি ছাড়া আর কোন শালারে আমি কেয়ার করি (২০১৬), আমাকে তুমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছো বিপ্লবের সামনে (১৯৮৩, ১৯৮৭), এবাদতনামা (২০২১); প্রবন্ধ: সংবিধান ও গণতন্ত্র (২০০৭, ২০০৯), সাম্রাজ্যবাদ (২০০৮), রক্তের দাগ মুছে রবীন্দ্রপাঠ (২০০৮), যুদ্ধ আরো কঠিন আরো গভীর (২০১৪), ক্ষমতার বিকার (২০০৭, ২০১৪), ব্যক্তি বন্ধুত্ব ও সাহিত্য (২০১৬), প্রাণ ও প্রকৃতি, বাণিজ্য ও বাংলাদেশের জনগণ (২০১১), নির্বাচিত প্রবন্ধ (২০০৮); দর্শন: তিমির জন্য লজিকবিদ্যা (২০১১), মার্কস পাঠের ভূমিকা (২০১১), মোকাবিলা (২০০৬, ২০১৯), মার্কস, ফুকো ও রুহানিয়াত (২০১৮, ২০১৯), ভাবান্দোলন (২০০৮)।৳ 440পূর্বপুরুষ
৳ 528আমার জীবনের লক্ষ্য বারবার বদলে গেছে।
ছোটবেলায় আমি আইসক্রিমওয়ালা হতে চেয়েছিলাম। স্কুলে পড়ার সময় হতে চেয়েছিলাম ডাক্তার। যৌবনে আমার জীবনের লক্ষ্য আমূল বদলে যায়। তখন আমি লেডিস হোস্টেলের দারোয়ান হওয়ার বাসনা পোষণ করতাম।
আমি শেষমেশ কিছুই হতে পারিনি। যেটা হয়েছি, তার নাম ফেরিওয়ালা, আমি গল্প ফেরি করে বেড়াই।
আড্ডায় আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প বলে যাই। সেই গল্প শোনার জন্য অনেকেই আড্ডায় আসেন। একসময় আড্ডার পরিসর বেড়ে যায়। আমি রেডিওতে রাত জেগে গল্প বলা শুরু করি। কয়েক বছর ধরে গল্পগুলো লিখে ফেলার চেষ্টা করছি। আমার মতো অলস মানুষের জন্য এটি অনেক কঠিন কাজ।৳ 660পৌরাণিক প্রেমকাহিনি
৳ 192নির্ঝর রুথ ঘোষের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে অবস্থিত কুমুদিনী ক্যাম্পাসে। ভারতেশ্বরী হোমস, হলি ক্রস কলেজ এবং গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে তিনি উচ্চশিক্ষার্থে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুষ্টিবিজ্ঞানের উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে টেক্সাস এঅ্যান্ডএম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পুষ্টিবিজ্ঞানের উপর পিএইচডি করছেন।ছোটবেলা থেকে লেখালেখির উপর ঝোঁকের কারণে নির্ঝরের হাত পড়েছে অনুবাদ, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি কিংবা মুভি রিভিউয়ে। ২০১৩ সালে ‘ইস্টিশন’ ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে ব্লগিং জীবন শুরু। এরপর ‘বিজ্ঞানযাত্রা’ ব্লগ, ব্যক্তিগত ব্লগ কিংবা মুখবইয়ের বিভিন্ন পেইজে লেখালেখির মাধ্যমে নিজের একটা আলাদা স্টাইল তৈরি করতে সক্ষম হন তিনি।
নির্ঝর পছন্দ করেন সাধারণ বিজ্ঞান, পুষ্টিবিজ্ঞান, পুরাণ এবং ইতিহাস নিয়ে লিখতে।
রিজওয়ানুর রহমান প্রিন্সের জন্ম লক্ষ্মীপুর জেলায় হলেও বাবার চাকরির সুবাদে তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এবং ঢাকা নটর ডেম কলেজ থেকে শিক্ষাগ্রহণ শেষে তিনি বস্ত্রপ্রকৌশলবিদ্যার জগতে প্রবেশ করেন। বস্ত্রপ্রকৌশল নিয়ে পড়াশোনার সময় থেকেই অন্তর্জালে টুকটাক লেখালেখির সূত্রপাত তাঁর পেশাগত জীবনে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করতে থাকে।
পুরাণ এবং ইতিহাস নিয়ে তাঁর বেশ কিছু লেখা অন্তর্জালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলেও বিজ্ঞান নিয়ে লিখতে সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। সেই সুবাদে ‘বিজ্ঞানযাত্রা’ ব্লগ এবং পেইজে তাঁর নিয়মিত লেখালেখি চলছে। বস্ত্রপ্রকৌশলীর চাকরি ছেড়ে বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং আগ্রহের সব বিষয় নিয়ে লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন।
৳ 240পৌরুষ, যৌনতা আর লিঙ্গ-রাজনীতি
৳ 320মানস চৌধুরী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক। এছাড়া তিনি পড়িয়েছেন মিডিয়া অধ্যয়ন, সাহিত্য, সংবাদ-আলোকচিত্র, স্থাপত্যবিদ্যা, দর্শন, প্রত্নতত্ত্ব, কমপিউটারবিজ্ঞান ইত্যাদি শাস্ত্রের শিক্ষার্থীদের। বিদ্যাজগতে তার সম্পাদিত ও রচিত কিছু গ্রন্থ রয়েছে। ছোটগল্পকার হিসেবেও তিনি কাজ করেন। প্রকাশিত ছয়টি গল্পের বই রয়েছে। অতিথি অধ্যাপক হিসেবে গিয়েছিলেন হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয় ও দিল্লির দক্ষিণ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলাদেশের প্রথম চিত্রকলার পত্রিকা ডিপার্ট-এর সম্পাদনামণ্ডলীর একজন ছিলেন। তর্কমূলক রচনায় তিনি নানান প্রসঙ্গে লিখে থাকেন, আর বলেন।
৳ 400প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল
৳ 256অর্ধদশক ধরে সিরিয়াসলি লেখালেখি করে নিজেকে অতুলনীয় করে তুলেছেন ঝংকার মাহবুব।
লেখক বুদ্ধি করে বলেন, অতুলনীয়। যাতে অন্য কেউ তুলনা করতে না আসে। সেই একই সুরে ক্লোজআপ-মার্কা হাসি দিয়ে দাবি করেন, তিনি খেলাধুলার ফার্স্ট বয়। পরে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি থেকে জানা যায়, কাজিনদের সাথে কুতকুত খেলায় উনি নিয়মিতই লাস্ট হতেন। তবে কাজিনদের মধ্যে উনি ছাড়া আর কোনো ছেলে না থাকায় টেকনিক্যালি তিনিই ফার্স্ট বয়।
মাঝবেলায় এসে খেলাধুলার ফার্স্ট বয় হওয়ার প্যারা না থাকায় বুয়েটের IPE ডিপার্টমেন্টের ইতিহাসে প্রথম জিপিএ ৪.০০-এর মধ্যে ৪.০০ পান। বুয়েট থেকে পাস করার পর ৩ বছর স্টার্টআপ করে, নর্থ ড্যাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্সও করেন। বর্তমানে স্ত্রী কারিনা ইসলামের চাকরিকে অজুহাত হিসেবে কাজে লাগিয়ে টেক্সাসের ডালাস শহরে বসে শিকাগোর নিলসেন কোম্পানিতে রিমোটলি সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কামলা খাটেন।৳ 320প্রমাণ করো যে
৳ 336তামজীদ মোর্শেদ রুবাবের জন্ম ২৪ জুলাই, ১৯৯৯ সালে ঢাকায়। মা খন্দকার শামিমা ইয়াছমিন ও বাবা এএইচ মনজুর মোর্শেদ। ছোটবেলা থেকেই নতুন নতুন বিষয় শিখতে আগ্রহী, রুবাব ২০১৭ সালে প্রথমবার আইএমওতে অংশগ্রহণ করেন এবং ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেন। একই বছর তিনি এপিএমওতে ব্রোঞ্জ আর আইজিওতে রৌপ্যপদক পেয়েছেন। ২০১৮ সালে তিনি আইএমওতে আরও একটা ব্রোঞ্জ পান। এরপর তিনি আহমেদ জাওয়াদ চোধুরীর সাথে গণিতের স্বপ্নযাত্রা বইটি লেখেন। এখন হংকং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে অধ্যয়নরত।
মুরসালিন হাবিবের গণিতের প্রতি আগ্রহের সূচনা হয় স্কুলের লাইব্রেরিতে একটা বই খুঁজে পাওয়ার মাধ্যমে। বইটা থেকে তিনি বুঝতে পারেন যে পাঠ্যবইয়ের গণিতের বাইরেও শেখার অনেক কিছু আছে। আর তখন থেকেই শুরু হয় তার পাঠ্যবইয়ের বাইরের গণিত শেখার যাত্রা। গণিতের প্রতি ভালোবাসা থেকেই কাজ করেছেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাথে। বর্তমানে পড়ালেখা করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তার প্রিয় কাজ হলো নতুন নতুন জিনিস শেখা এবং নিজের সম্পর্কে থার্ড পারসনে লেখা (যেমনটা তিনি এখন করছেন)!
তাহ্নিক নূর সামীনের ছোটবেলা থেকেই অভ্যাস পড়া আর পড়া। সেটা পেপার, বই, ম্যাগাজিন যা-ই হোক। প্রথম সৃজনশীল মেধা অন্বেষণে তিনি গণিতে দেশসেরা হন। ফিজিকস, ইনফরমেটিকস৳ 480প্রযুক্তির যত মজার তথ্য
৳ 200মোস্তাক শরীফ, জন্ম ১৯৭৪ সালে ফেনী শহরে। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের পড়াশোনা ফেনীতে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। পিএইচডি করেছেন গ্রামীণ তথ্যব্যবস্থা বিষয়ে, ২০১১ সালে। লেখালেখির সূচনা দৈনিক পত্রিকায়, নব্বই দশকের শুরুতে। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সি নিউজ নামে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক একটি মাসিক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। ফিকশন-নন ফিকশন মিলিয়ে মোট নয়টি বইয়ের লেখক। স্ত্রী পলি, পুত্র আরাফ ও কন্যা মাইসারাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাস।
৳ 250প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী
৳ 336প্রায় তিন দশক ধরে লেখালেখি করে যাচ্ছেন ঝংকার মাহবুব। যদিও তার লেখালেখির পুরোটাই গেছে পরীক্ষার খাতায়, পাস নম্বরের আশায়।
তবে লেখালেখি করে আজ পর্যন্ত ফুটা পয়সা কামাই করতে না পারলেও ক্লাস সেভেনে থাকা অবস্থায় স্ট্যান্ডআপ কমেডি প্রতিযোগিতায় সেকেন্ড হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। হাড্ডাহাডি সেই লড়াইয়ে প্রতিযোগী ছিল তিনজন। যাদের মধ্যে একজন ছিল অনুপস্থিত।
এ ছাড়া নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়, উচ্চতা কম হওয়ার সুবিধায়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বালকদের সাথে জুনিয়র ক্যাটাগরিতে মোরগ লড়াইয়ে নেমেছিলেন তিনি। সেই লড়াইয়ে বড় ক্লাসের ভাই হিসেবে দেখানো সম্মানকে পুঁজি করে, শেষ তিনজন পর্যন্ত পাশ কাটিয়ে টিকতে পেরেছিলেন। তারপর বাকি দুজন বড় ভাইয়ের সম্মানের মাথামুণ্ডু খেয়ে, ওনাকে কনুই দিয়ে গুঁতা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। তখন লুঙ্গির কাছা সামলিয়ে উঠে দাঁড়াতে না পারলেও ততক্ষণে মোরগ লড়াইয়ে তৃতীয় হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন লাল রঙের সাবানের কেইস।
বুয়েট থেকে পাস করে, নর্থ ডেকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করে বর্তমানে আমেরিকার শিকাগো শহরে সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।
www.fb.com/jhankarmahbub৳ 420প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস
৳ 240ছোটবেলায় লেখালেখির বিস্ময়কর প্রতিভা দেখিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন ঝংকার মাহবুব। যদিও লিখেছিলেন অ আ ক খ। আর মুগ্ধ হয়েছিলেন ওনার আব্বু-আম্মু। তারপরও চকলেট, আচার, আইসক্রিমের লোভে লেখা চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। কিছুদিন পর দাঁতে পোকা হওয়ায়, আচার-আইসক্রিমের সাপ্লাই কমে যাওয়ায় ওনার জ¦লন্ত প্রতিভাকে ঘুম পাড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে বাধ্য হন। মাঝের কয়েক বছর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও ওনার উর্বর মস্তিষ্ক থেকে উল্লেখযোগ্য কিছুই পয়দা হয়নি। শেষমেশ টিকতে না পেরে, দেশের গরমকে দোষারোপ করে, চলে গেছেন শীতের কামড় খাওয়া দেশে। সেখানে ঘুঁটনি দিয়ে নাড়িয়ে ডালের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করায় নিজেকে আলোড়ন সৃষ্টিকারী লেখক হিসেবে আবিষ্কার করেন।
অন্য কিছু হওয়ার সুযোগ ছিল না বলে বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে দ্বিতীয় হন। নর্থ ডেকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে মাস্টার্স করে প্রোগ্রামিং জগতে আসেন। এখন বাড়িওয়ালার ভাড়ার টাকা পরিশোধ করার ঠেলায় শিকাগোর নিলসেন কোম্পানিতে সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার ও বসের ঝাড়ি খাওয়া প্রোগ্রামার হিসেবে কামলা খাটেন।
www.fb.com/jhankarmahbubshow
www.jhankarmahbub.com
“৳ 300ফারজানার ড্রয়িং
৳ 240আমি ফারজানা আক্তার। কুমিল্লা জেলায় আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। আমি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ (ডিগ্রি শাখা) থেকে মাস্টার্স শেষ করেছি। আমার বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্য। অবসর সময়ে তিনি ছবি আঁকতেন। আমি বাবার পিছনে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে ছবি আঁকা দেখতাম। ছবি আঁকার প্রতি ভালোবাসা সেই থেকেই। আমার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ছবি আঁকা শেখার সুযোগ হয়নি, তাই অনুশীলন করে আঁকা শেখার চেষ্টা করেছি।
২০১৭ সালের জানুয়ারির ২১ তারিখ থেকে আমি ‘Farjana Drawing Academy’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে অঙ্কন টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করা শুরু করি। আমি প্রতিটি ভিডিওতে খুব সহজভাবে ধাপে ধাপে ছবি আঁকার কৌশল দেখানোর চেষ্টা করি। অন্যকে আঁকা শেখানোর চেষ্টা করে নিজেও অনেক কিছু শিখেছি। শেখার কোনো শেষ নেই। ভবিষ্যতে আরো শেখার চেষ্টা করব।৳ 300ফিজিক্স অলিম্পিয়াড: এক্সপেরিমেন্টের জগতে প্রবেশ
৳ 480জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাজশাহীতে। ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে তার যাত্রা শুরু ২০১৬ সালে। তারপর বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে পরপর তিনবার ন্যাশনাল পদক অর্জন করেন। শাফায়াত বাংলাদেশ দলের হয়ে ২০১৮ সালে ভিয়েতনামে ও ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এশিয়ান ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে (APhO) অংশগ্রহণ করেন।
অবসরে তার প্রিয় কাজ আকাশের তারা গোনা। fb.com/shafayat.shato৳ 600ফ্রিল্যান্সিং গুরু: অনলাইন আয়ের চাবিকাঠি
৳ 288১৯৯৯ সালে যাত্রাবাড়ির এ,কে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি সম্পন্ন করেছেন, ইন্টারমিডিয়েটে পড়েছেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুল রউফ কলেজ, পীলখানা হতে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।
৳ 360বঙ্গবন্ধুনামা
৳ 192তিন পুরুষ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত। তানভীর শাকিল জয় সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য। জন্ম ১ আগস্ট ১৯৭৬ সালে, সিরাজগঞ্জে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও মা লায়লা আঞ্জুমান বানু বীথির একমাত্র ছেলে তিনি। জয়ের দাদা ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী। বাকশাল গঠনের পর দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ক্যাপ্টেন মনসুর।
জয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি ও ঢাকা কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার জর্জ ম্যাশন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক করেন।
তানভীর শাকিল জয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৩ জুন ২০২০ সালে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নাসিম মৃত্যুবরণ করলে, শূন্য আসনে ১২ নভেম্বর উপ-নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।৳ 240বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন
৳ 368কে এম গোলাম দস্তগীরের জন্ম ভোলার চরফ্যাশনে। বাবা কাজী কাঞ্চন আহমেদ ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরচিত অবদানের জন্য কাজী কাঞ্চন আহমেদ পেয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জয়পদক, সমরপদক, সংবিধানপদক ও রণতারকাপদক। মা নুরজাহান বেগম গৃহিণী।
শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চরফ্যাশন মহাবিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে বিএ অনার্স ও এমএ করেন।
ছোটবেলা থেকেই তার প্রিয় জগৎ বই আর লেখালেখি। ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন। সমুদ্র আর পাহাড় ভীষণ প্রিয়। সম্পাদনা করেছেন ‘প্রজন্মের চিহ্ন ও মাসিক পল্লীচিত্র’। তিনি জাতীয় ইউনেসকো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। একজন সফল উপস্থাপক। প্রকৃতিপ্রেমে অন্ধ দস্তগীর ভালোবাসেন প্রকৃতির নানা রূপ। ছোটবেলার স্মৃতির আল বেয়ে হেঁটে বেড়াতেই তার সুখ।৳ 460বলা ও না-বলা কথা
৳ 272কমরেড মনজুরুল আহসান খান মাত্র ২০ বছর বয়সে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ অর্জন করেন। ছাত্রাবস্থায়ই কাজ করেন পোস্তগোলা ও তেজগাঁও শ্রমিক বস্তিতে এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের শ্রমিকদের সঙ্গে। ১৯৭১ সালে তার বয়স ২৬। বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হলো, কিন্তু ঘর বাঁধার আয়োজন উপেক্ষা করে মনজুর ঘর ছাড়েন ও মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর অধীনে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
দেশ শত্রুমুক্ত হলো, কিন্তু শোষণমুক্ত হলো না। তিনি ফিরে যান উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরি শ্রমিকদের সংগঠিত করার কাজে। দায়িত্ব নেন সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠিত করার। ‘৭৫-এ রাজনৈতিক পটপরিবর্তন। দেশে সামরিক শাসনের উত্থান। ১৯৮৪ সালে দেশব্যাপী ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে তাকে গ্রেফতার করা হলে ঢাকা শহরে বাস শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। সোভিয়েত সমাজতন্ত্র অস্ত যাওয়ায় বাঘা বাঘা সমাজতন্ত্রীরা সমাজতন্ত্রের শেষ দেখে ফেললেও মনজুরুল আহসান খানের নেতৃত্বেই ঢাকায় ‘সমাজতন্ত্রের সংগ্রাম চলবে’ ব্যানারে মিছিল হয়।
কমিউনিস্ট পার্টির এই উপদেষ্টার বয়স এখন আশি ছুঁই ছুঁই। ১৯৭৩ সালে মাত্র ২৮ বছর বয়সে পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেসে তিনি অন্যতম সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিন দফায় ছিলেন পার্টির সভাপতি। বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও জোটের অন্যতম স্থপতি এই ক্যারিশমাটিক ও লড়াকু গেরিলা কমিউনিস্ট নেতা। গণশিল্পীদের সংগঠন উদীচী’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি।
গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, ডাকসাইটে এই শ্রমিক নেতা মন ও মননে একজন পুরাদস্তুর শিল্পীও বটে। ভালোবাসেন গান, ভালোবাসেন আবৃত্তি করতে।৳ 340বাঘ
৳ 240
রোমেল রহমান কবি ও নাট্যকার। নিয়মিত লেখেন বাংলাভাষার বিভিন্ন পত্রিকা এবং ওয়েবজিনে। মঞ্চ ও পথনাটক রচনা করে যাচ্ছেন, যা দেশ ও দেশের বাইরে মঞ্চস্থ হয়। চিত্রনাট্য রচনার সঙ্গে যুক্ত আছেন। গল্পের জন্য ‘PEN Bangladesh সাহিত্য পুরস্কার ২০২০’ পেয়েছেন।
বসবাস: খুলনা, বাংলাদেশ।
গ্রন্থ: ‘বিনিদ্র ক্যারাভান’; ‘মহামারী দিনের প্যারাবল’; ‘প্রোপাগান্ডা ও আরোগ্যবিতান’।৳ 300বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে
৳ 320ফাহাম আব্দুস সালামের লেখার সাথে পরিচিত সবাই জানেন যে ফাহাম ভালো লিখতে পারেন। তবে ফাহামের তিনটি গুণ আলাদা করে বলা যায়, যা লিখতে পারেন এরকম বহু লোকের মাঝে আমরা খুঁজি কিন্তু পাই না।
ফাহাম চিন্তা করতে জানেন। চিন্তার ব্যাপারটা বুঝতে হলে আমরা কেনেডিয়ান সাইকোলজিস্ট জর্ডান পিটারসনের কথা ধার করতে পারি। তিনি বলছেন যে, মানুষ সাধারণত তাদের মাথায় যে চিন্তাটা আসে সেটা নিয়ে চিন্তা করে না। অর্থাৎ যে কোনো ইস্যুতে একটি সাধারণ ভাবনা তাদের আসে ঠিকই, কিন্তু সেই প্রাথমিক ধারণাটা কতটা উপযুক্ত হয়েছে তা নিয়ে তারা আর চিন্তা করতে পারে না। ফাহাম এই কাজটা পারেন। তিনি পদ্ধতিগতভাবে চিন্তা করতে পারেন বলে নিজের ভাবনাকে ছকে নিতে পারেন। যদি ফাহামের কোনো চিন্তায় ভুল থাকে তাহলে সেটাও তিনি পদ্ধতিগতভাবেই করেছেন। তাই কোথায় ভুল হয়েছে সেটা ধরিয়ে দিতে পারলে তিনি বুঝবেন। সবাই বোঝে না।
যেহেতু চিন্তা করতে পারেন, তাই ফাহাম অন্যের কথার যুক্তি তলিয়ে দেখতে পারেন। ফলে অন্যের ব্যক্তি-সমালোচনা না করে তিনি প্রত্যেকের কথাকে সেই চিন্তার মাপকাঠিতে যাচাই করে সেটাকে সমর্থন বা সমালোচনা করতে পারেন। এ ব্যাপারে তার নিজের প্রেজুডিস যেন কাজ না করে সেই প্রচেষ্টা ফাহামের থাকে। অনেকেরই থাকে না।
ফাহাম চিন্তা করে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন সেটিকে অকপটে বলতে পারেন। সিদ্ধান্ত সঠিক হলে, সেটিকে তিনি কাউকে খুশি করার জন্য অথবা কেউ বেজার হবে— এই চিন্তায় আটকে রাখেন না। বলাই বাহুল্য যে এ কাজটিও বহু লোক করতে পারেন না।
এ তিনটি গুণ ফাহাম আব্দুস সালামের চিন্তা ও লেখাকে আলাদা করবে।
৳ 400