পুরুষতন্ত্র ও নারী
৳ 352ফরিদা আখতার জন্ম, চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার হারলা গ্রামে। অর্থনীতিতে পড়াশোনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। কাজ করেন আর্থসামাজিক গবেষণার নানান ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের অবস্থা জানা এবং পরিবর্তনের জন্য নীতিনির্ধারণী গবেষণা ও লেখালেখিই তার কাজের প্রধান জায়গা। নারী উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য-সম্পদ, তাঁত শিল্প, গার্মেন্টস শিল্প ও শ্রমিক, জনসংখ্যা এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক বিষয়ে নিবিড়ভাবে দীর্ঘ প্রায় তিন দশক কাজ করে চলেছেন। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নামে পরিচালিত কার্যক্রমের মারাত্মক কুফল ও নারী স্বাস্থ্যের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে লেখালেখি এবং প্রতিকার আন্দোলনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে সুপরিচিত। নারীদের জন্যে গ্রন্থ প্রকাশ, বিক্রয় ও নারীদের গবেষণা ও আড্ডার জায়গা নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা প্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত। বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত, সম্মিলিত নারী সমাজ’র সদস্য।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: প্রবন্ধ: প্রতিরোধ (২০০৪), বিকৃত বীজ (২০০৯), পরিবেশ রাজনীতি ও জলবায়ু পরিবর্তন (২০১০), Seeds of Movements (2007I 2011), Resisting Norplant (1995), Depopulating Bangladesh (1992, 1996 I 2005), Essays on the Politics of fertility, Women & Trees (1990, 1999 I 2008); সম্পাদনা: শত বছরে শত নারী (১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৮ ও ২০১০), সর্বনাশা বিষ (২০০৫ ), মানুষ নিয়ে বেচাকেনা ( ২০০১), সংরক্ষিত আসন, সরাসরি নির্বাচন (১৯৯৯)।
কবি, চিন্তক, বুদ্ধিজীবী ও কৃষক। জন্ম: ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশের নোয়াখালি জেলায়। পড়াশুনা করেছেন ওষুধ শাস্ত্র ও অর্থনীতি বিষয়ে যথাক্রমে ঢাকা ও নিউইয়র্কে। পেশাসূত্রে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলাদেশের ‘নয়াকৃষি আন্দোলন-এর প্রধান সহযোদ্ধা। লালন ধারা-সহ বৃহৎ বঙ্গের ভাবান্দোলন পরম্পরার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, সমাজ ও রাজনীতি চিন্তা এবং দার্শনিক বিষয়ে বহু গদ্য রচনা করেছেন। এছাড়াও লিখেছেন নাটক। অনুবাদও করেছেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: কবিতা: অসময়ের নোট বই(১৯৯৪, ২০১৬), কবিতার বোনের সঙ্গে আবার (২০০৩), ক্যামেরাগিরি (২০১০, ২০১৩), তুমি ছাড়া আর কোন শালারে আমি কেয়ার করি (২০১৬), আমাকে তুমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছো বিপ্লবের সামনে (১৯৮৩, ১৯৮৭), এবাদতনামা (২০২১); প্রবন্ধ: সংবিধান ও গণতন্ত্র (২০০৭, ২০০৯), সাম্রাজ্যবাদ (২০০৮), রক্তের দাগ মুছে রবীন্দ্রপাঠ (২০০৮), যুদ্ধ আরো কঠিন আরো গভীর (২০১৪), ক্ষমতার বিকার (২০০৭, ২০১৪), ব্যক্তি বন্ধুত্ব ও সাহিত্য (২০১৬), প্রাণ ও প্রকৃতি, বাণিজ্য ও বাংলাদেশের জনগণ (২০১১), নির্বাচিত প্রবন্ধ (২০০৮); দর্শন: তিমির জন্য লজিকবিদ্যা (২০১১), মার্কস পাঠের ভূমিকা (২০১১), মোকাবিলা (২০০৬, ২০১৯), মার্কস, ফুকো ও রুহানিয়াত (২০১৮, ২০১৯), ভাবান্দোলন (২০০৮)।৳ 440পূর্ব বাংলার ফটোগ্রাফি
৳ 192প্রায় পাঁচ দশক নাসির আলী মামুন সৃজনশীল এবং খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বদের বিভিন্ন দুর্লভ মুহূর্ত ক্যামেরায় বন্দি করে চলেছেন। তাঁর শিল্পিত স্পর্শে আলোকচিত্রগুলো যেন মূর্ত হয়ে ওঠে। দেশে ও বিদেশে এযাবৎ ৫৯টি একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী করেছেন তিনি। ‘ঘর নাই’ শিরোনামে তাঁর ভিন্নধর্মী লেখাগুলো দৈনিক ‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় ২৫ মার্চ, ২০০০ থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকলে তা অসংখ্য পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে। এই গ্রন্থে সেই লেখাগুলো থেকে ৪০টি প্রকাশিত হলো। এই বরেণ্য শিল্পীর জন্ম ১৯৫৩ সালের ১ জুলাই, ঢাকায়।
৳ 240পূর্বদেশের মনীষী
৳ 128১৯৭২ সালে নাসির আলী মামুন বাংলাদেশে পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফির সূচনা করেন। আমাদের কালের শ্রেষ্ঠ মানুষেরা তার ক্যামেরায় বন্দি হয়ে আছেন। তাদের বিভিন্ন সময়ের মুহূর্তগুলো তিনি অত্যন্ত পারদর্শিতার সঙ্গে ধরে রেখেছেন আলোকচিত্রে এবং তার তোলা বিশিষ্টজনদের স্থিরচিত্রে আলো-আঁধারের ঐশ্বরিক স্পর্শ তাকে আন্তর্জাতিক মর্যাদা এনে দিয়েছে। তার ক্যামেরায় খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বদের এমন সব চরিত্র ও মুহূর্ত ধরা আছে, যা এখন আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। প্রকাশিত গ্রন্থ ১৫টি। দেশে ও বিদেশে একক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সংখ্যা ৫৯টি। ‘ফটোজিয়াম’ নামে ফটোগ্রাফির একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। একাধিকবার ভ্রমণ করেছেন ইউরোপ-আমেরিকার বহু দেশ। আলোকচিত্রে ধারণ করেছেন সেই সব দেশের অনেক বরেণ্য ব্যক্তিকে। ১৯৫৩ সালের জুলাই মাসের ১ তারিখে পুরান ঢাকায় নাসির আলী মামুনের জন্ম।
৳ 160পূর্বপুরুষ
৳ 528আমার জীবনের লক্ষ্য বারবার বদলে গেছে।
ছোটবেলায় আমি আইসক্রিমওয়ালা হতে চেয়েছিলাম। স্কুলে পড়ার সময় হতে চেয়েছিলাম ডাক্তার। যৌবনে আমার জীবনের লক্ষ্য আমূল বদলে যায়। তখন আমি লেডিস হোস্টেলের দারোয়ান হওয়ার বাসনা পোষণ করতাম।
আমি শেষমেশ কিছুই হতে পারিনি। যেটা হয়েছি, তার নাম ফেরিওয়ালা, আমি গল্প ফেরি করে বেড়াই।
আড্ডায় আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প বলে যাই। সেই গল্প শোনার জন্য অনেকেই আড্ডায় আসেন। একসময় আড্ডার পরিসর বেড়ে যায়। আমি রেডিওতে রাত জেগে গল্প বলা শুরু করি। কয়েক বছর ধরে গল্পগুলো লিখে ফেলার চেষ্টা করছি। আমার মতো অলস মানুষের জন্য এটি অনেক কঠিন কাজ।৳ 660পোষাক পরিকল্পনার নন্দন-বীক্ষণ
৳ 800ওয়াহীদা মল্লিক ও শাহমান মৈশানের ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকতা, সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও নাট্যতত্ত্ব বিষয়ে গবেষণাসুলভ কৌতূহলের মিলিত অভিব্যক্তি এই বইয়ের মনোভঙ্গি তৈরি করেছে। উপমহাদেশ ও পাশ্চাত্যের পোশাক পরিকল্পনার তত্ত্ব ও প্রয়োগের নান্দনিক সূত্র তালাশে নিবিষ্ট এ বইয়ে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের একটি সীমিত পরিসরে নাট্যানুশীলনের প্রক্রিয়া। এই সৃজনশীল প্রক্রিয়ার জৈব অংশ হিসেবে লেখকদের পোশাক-পরিকল্পনার একাডেমিক অভিজ্ঞতাও এ বইয়ে গ্রথিত হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-উত্তরকালে বিকশিত গ্রুপ থিয়েটার চর্চার বিস্তৃত ক্ষেত্রে পোশাকের সৃষ্টিশীল পরিকল্পনা ও চর্চা এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে পদ্ধতিগত সমীক্ষা ও তত্ত্ব তালাশের আদিসূত্ররূপেও উৎসাহব্যঞ্জক হতে পারে এ বই।
৳ 1,000পৌরাণিক প্রেমকাহিনি
৳ 192নির্ঝর রুথ ঘোষের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে অবস্থিত কুমুদিনী ক্যাম্পাসে। ভারতেশ্বরী হোমস, হলি ক্রস কলেজ এবং গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে তিনি উচ্চশিক্ষার্থে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুষ্টিবিজ্ঞানের উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে টেক্সাস এঅ্যান্ডএম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পুষ্টিবিজ্ঞানের উপর পিএইচডি করছেন।ছোটবেলা থেকে লেখালেখির উপর ঝোঁকের কারণে নির্ঝরের হাত পড়েছে অনুবাদ, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি কিংবা মুভি রিভিউয়ে। ২০১৩ সালে ‘ইস্টিশন’ ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে ব্লগিং জীবন শুরু। এরপর ‘বিজ্ঞানযাত্রা’ ব্লগ, ব্যক্তিগত ব্লগ কিংবা মুখবইয়ের বিভিন্ন পেইজে লেখালেখির মাধ্যমে নিজের একটা আলাদা স্টাইল তৈরি করতে সক্ষম হন তিনি।
নির্ঝর পছন্দ করেন সাধারণ বিজ্ঞান, পুষ্টিবিজ্ঞান, পুরাণ এবং ইতিহাস নিয়ে লিখতে।
রিজওয়ানুর রহমান প্রিন্সের জন্ম লক্ষ্মীপুর জেলায় হলেও বাবার চাকরির সুবাদে তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এবং ঢাকা নটর ডেম কলেজ থেকে শিক্ষাগ্রহণ শেষে তিনি বস্ত্রপ্রকৌশলবিদ্যার জগতে প্রবেশ করেন। বস্ত্রপ্রকৌশল নিয়ে পড়াশোনার সময় থেকেই অন্তর্জালে টুকটাক লেখালেখির সূত্রপাত তাঁর পেশাগত জীবনে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করতে থাকে।
পুরাণ এবং ইতিহাস নিয়ে তাঁর বেশ কিছু লেখা অন্তর্জালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলেও বিজ্ঞান নিয়ে লিখতে সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। সেই সুবাদে ‘বিজ্ঞানযাত্রা’ ব্লগ এবং পেইজে তাঁর নিয়মিত লেখালেখি চলছে। বস্ত্রপ্রকৌশলীর চাকরি ছেড়ে বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং আগ্রহের সব বিষয় নিয়ে লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন।
৳ 240পৌরুষ, যৌনতা আর লিঙ্গ-রাজনীতি
৳ 320মানস চৌধুরী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক। এছাড়া তিনি পড়িয়েছেন মিডিয়া অধ্যয়ন, সাহিত্য, সংবাদ-আলোকচিত্র, স্থাপত্যবিদ্যা, দর্শন, প্রত্নতত্ত্ব, কমপিউটারবিজ্ঞান ইত্যাদি শাস্ত্রের শিক্ষার্থীদের। বিদ্যাজগতে তার সম্পাদিত ও রচিত কিছু গ্রন্থ রয়েছে। ছোটগল্পকার হিসেবেও তিনি কাজ করেন। প্রকাশিত ছয়টি গল্পের বই রয়েছে। অতিথি অধ্যাপক হিসেবে গিয়েছিলেন হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয় ও দিল্লির দক্ষিণ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলাদেশের প্রথম চিত্রকলার পত্রিকা ডিপার্ট-এর সম্পাদনামণ্ডলীর একজন ছিলেন। তর্কমূলক রচনায় তিনি নানান প্রসঙ্গে লিখে থাকেন, আর বলেন।
৳ 400প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল
৳ 256অর্ধদশক ধরে সিরিয়াসলি লেখালেখি করে নিজেকে অতুলনীয় করে তুলেছেন ঝংকার মাহবুব।
লেখক বুদ্ধি করে বলেন, অতুলনীয়। যাতে অন্য কেউ তুলনা করতে না আসে। সেই একই সুরে ক্লোজআপ-মার্কা হাসি দিয়ে দাবি করেন, তিনি খেলাধুলার ফার্স্ট বয়। পরে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি থেকে জানা যায়, কাজিনদের সাথে কুতকুত খেলায় উনি নিয়মিতই লাস্ট হতেন। তবে কাজিনদের মধ্যে উনি ছাড়া আর কোনো ছেলে না থাকায় টেকনিক্যালি তিনিই ফার্স্ট বয়।
মাঝবেলায় এসে খেলাধুলার ফার্স্ট বয় হওয়ার প্যারা না থাকায় বুয়েটের IPE ডিপার্টমেন্টের ইতিহাসে প্রথম জিপিএ ৪.০০-এর মধ্যে ৪.০০ পান। বুয়েট থেকে পাস করার পর ৩ বছর স্টার্টআপ করে, নর্থ ড্যাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্সও করেন। বর্তমানে স্ত্রী কারিনা ইসলামের চাকরিকে অজুহাত হিসেবে কাজে লাগিয়ে টেক্সাসের ডালাস শহরে বসে শিকাগোর নিলসেন কোম্পানিতে রিমোটলি সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কামলা খাটেন।৳ 320প্রমাণ করো যে
৳ 384তামজীদ মোর্শেদ রুবাবের জন্ম ২৪ জুলাই, ১৯৯৯ সালে ঢাকায়। মা খন্দকার শামিমা ইয়াছমিন ও বাবা এএইচ মনজুর মোর্শেদ। ছোটবেলা থেকেই নতুন নতুন বিষয় শিখতে আগ্রহী, রুবাব ২০১৭ সালে প্রথমবার আইএমওতে অংশগ্রহণ করেন এবং ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেন। একই বছর তিনি এপিএমওতে ব্রোঞ্জ আর আইজিওতে রৌপ্যপদক পেয়েছেন। ২০১৮ সালে তিনি আইএমওতে আরও একটা ব্রোঞ্জ পান। এরপর তিনি আহমেদ জাওয়াদ চোধুরীর সাথে গণিতের স্বপ্নযাত্রা বইটি লেখেন। এখন হংকং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে অধ্যয়নরত।
মুরসালিন হাবিবের গণিতের প্রতি আগ্রহের সূচনা হয় স্কুলের লাইব্রেরিতে একটা বই খুঁজে পাওয়ার মাধ্যমে। বইটা থেকে তিনি বুঝতে পারেন যে পাঠ্যবইয়ের গণিতের বাইরেও শেখার অনেক কিছু আছে। আর তখন থেকেই শুরু হয় তার পাঠ্যবইয়ের বাইরের গণিত শেখার যাত্রা। গণিতের প্রতি ভালোবাসা থেকেই কাজ করেছেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাথে। বর্তমানে পড়ালেখা করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তার প্রিয় কাজ হলো নতুন নতুন জিনিস শেখা এবং নিজের সম্পর্কে থার্ড পারসনে লেখা (যেমনটা তিনি এখন করছেন)!
তাহ্নিক নূর সামীনের ছোটবেলা থেকেই অভ্যাস পড়া আর পড়া। সেটা পেপার, বই, ম্যাগাজিন যা-ই হোক। প্রথম সৃজনশীল মেধা অন্বেষণে তিনি গণিতে দেশসেরা হন। ফিজিকস, ইনফরমেটিকস৳ 480প্রযুক্তির যত মজার তথ্য
৳ 200মোস্তাক শরীফ, জন্ম ১৯৭৪ সালে ফেনী শহরে। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের পড়াশোনা ফেনীতে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। পিএইচডি করেছেন গ্রামীণ তথ্যব্যবস্থা বিষয়ে, ২০১১ সালে। লেখালেখির সূচনা দৈনিক পত্রিকায়, নব্বই দশকের শুরুতে। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সি নিউজ নামে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক একটি মাসিক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। ফিকশন-নন ফিকশন মিলিয়ে মোট নয়টি বইয়ের লেখক। স্ত্রী পলি, পুত্র আরাফ ও কন্যা মাইসারাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাস।
৳ 250প্রসঙ্গ তালিবান: পশ্চিমা বিশ্ব এবং আফগান রাজনীতি
৳ 240রাহমান চৌধুরীর জন্ম বাংলাদেশের রাজশাহী শহরে। বর্তমানে তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি প্রশাসন বিভাগে অধ্যাপনা করছেন। তিনি একজন ইতিহাস গবেষক, শিল্প-সংস্কৃতির সমালোচক এবং সর্বোপরি একজন নাট্যকার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে ১৯৮১ সালে ইতিহাসে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৮২ সালে স্নাতকোত্তর সনদ লাভ করেন। ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগ থেকে ‘স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের মঞ্চনাটকে রাজনীতি’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভ রচনার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর নাটক-চলচ্চিত্র ও শিক্ষা বিষয়ক বহু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁর প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ মঞ্চ-নাটকের সংখ্যা দশের অধিক এবং ইতিহাস-রাজনীতি, শিল্প-সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ে রচিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা চল্লিশের অধিক। তিনি বিভিন্ন রচনায় প্রধানত যে কাজটি করে থাকেন তা হলো সমাজ বিশ্লেষণ। ইতিপূর্বে তাঁর বিভিন্ন বিষয়ে আরো গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, যার মধ্যে আছে ‘বাংলার চারশো বছরের প্রাথমিক শিক্ষা’, ‘স্বাধীনদেশে ঔপনিবেশিক বিচার ব্যবস্থা’, ‘রাজনৈতিক নাট্যচিন্তার স্বরূপ’, ‘ভারত ভাগ: জিন্নাহ এবং গান্ধীর রাজনীতি’ ইত্যাদি। রাহমান চৌধুরীর প্রথম দুটি নাট্যগ্রন্থ ‘মহাবিদ্রোহ ও সম্রাট বাহাদুর শাহ’ এবং ‘ক্রীড়নক’ বাংলা একাডেমি প্রকাশ করে। প্রথমা প্রকাশ করে তাঁর ‘মাহাথির এবং মালয়েশিয়া’ নামের ভ্রমণকাহিনি।
৳ 300প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী
৳ 336প্রায় তিন দশক ধরে লেখালেখি করে যাচ্ছেন ঝংকার মাহবুব। যদিও তার লেখালেখির পুরোটাই গেছে পরীক্ষার খাতায়, পাস নম্বরের আশায়।
তবে লেখালেখি করে আজ পর্যন্ত ফুটা পয়সা কামাই করতে না পারলেও ক্লাস সেভেনে থাকা অবস্থায় স্ট্যান্ডআপ কমেডি প্রতিযোগিতায় সেকেন্ড হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। হাড্ডাহাডি সেই লড়াইয়ে প্রতিযোগী ছিল তিনজন। যাদের মধ্যে একজন ছিল অনুপস্থিত।
এ ছাড়া নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়, উচ্চতা কম হওয়ার সুবিধায়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বালকদের সাথে জুনিয়র ক্যাটাগরিতে মোরগ লড়াইয়ে নেমেছিলেন তিনি। সেই লড়াইয়ে বড় ক্লাসের ভাই হিসেবে দেখানো সম্মানকে পুঁজি করে, শেষ তিনজন পর্যন্ত পাশ কাটিয়ে টিকতে পেরেছিলেন। তারপর বাকি দুজন বড় ভাইয়ের সম্মানের মাথামুণ্ডু খেয়ে, ওনাকে কনুই দিয়ে গুঁতা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। তখন লুঙ্গির কাছা সামলিয়ে উঠে দাঁড়াতে না পারলেও ততক্ষণে মোরগ লড়াইয়ে তৃতীয় হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন লাল রঙের সাবানের কেইস।
বুয়েট থেকে পাস করে, নর্থ ডেকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করে বর্তমানে আমেরিকার শিকাগো শহরে সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।
www.fb.com/jhankarmahbub৳ 420প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস
৳ 240ছোটবেলায় লেখালেখির বিস্ময়কর প্রতিভা দেখিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন ঝংকার মাহবুব। যদিও লিখেছিলেন অ আ ক খ। আর মুগ্ধ হয়েছিলেন ওনার আব্বু-আম্মু। তারপরও চকলেট, আচার, আইসক্রিমের লোভে লেখা চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। কিছুদিন পর দাঁতে পোকা হওয়ায়, আচার-আইসক্রিমের সাপ্লাই কমে যাওয়ায় ওনার জ¦লন্ত প্রতিভাকে ঘুম পাড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে বাধ্য হন। মাঝের কয়েক বছর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও ওনার উর্বর মস্তিষ্ক থেকে উল্লেখযোগ্য কিছুই পয়দা হয়নি। শেষমেশ টিকতে না পেরে, দেশের গরমকে দোষারোপ করে, চলে গেছেন শীতের কামড় খাওয়া দেশে। সেখানে ঘুঁটনি দিয়ে নাড়িয়ে ডালের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করায় নিজেকে আলোড়ন সৃষ্টিকারী লেখক হিসেবে আবিষ্কার করেন।
অন্য কিছু হওয়ার সুযোগ ছিল না বলে বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে দ্বিতীয় হন। নর্থ ডেকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে মাস্টার্স করে প্রোগ্রামিং জগতে আসেন। এখন বাড়িওয়ালার ভাড়ার টাকা পরিশোধ করার ঠেলায় শিকাগোর নিলসেন কোম্পানিতে সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার ও বসের ঝাড়ি খাওয়া প্রোগ্রামার হিসেবে কামলা খাটেন।
www.fb.com/jhankarmahbubshow
www.jhankarmahbub.com
“৳ 300ফারজানার ড্রয়িং
৳ 240আমি ফারজানা আক্তার। কুমিল্লা জেলায় আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। আমি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ (ডিগ্রি শাখা) থেকে মাস্টার্স শেষ করেছি। আমার বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্য। অবসর সময়ে তিনি ছবি আঁকতেন। আমি বাবার পিছনে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে ছবি আঁকা দেখতাম। ছবি আঁকার প্রতি ভালোবাসা সেই থেকেই। আমার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ছবি আঁকা শেখার সুযোগ হয়নি, তাই অনুশীলন করে আঁকা শেখার চেষ্টা করেছি।
২০১৭ সালের জানুয়ারির ২১ তারিখ থেকে আমি ‘Farjana Drawing Academy’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে অঙ্কন টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করা শুরু করি। আমি প্রতিটি ভিডিওতে খুব সহজভাবে ধাপে ধাপে ছবি আঁকার কৌশল দেখানোর চেষ্টা করি। অন্যকে আঁকা শেখানোর চেষ্টা করে নিজেও অনেক কিছু শিখেছি। শেখার কোনো শেষ নেই। ভবিষ্যতে আরো শেখার চেষ্টা করব।৳ 300